শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মা ম লা কানাইঘাটে সুরমা নদীর ভাঙনে আতঙ্ক ভোলাগঞ্জ, জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি খুলছে? প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কতৃক সাংবাদিককে হত্যা পরিকল্পনার প্রতিবাদে মানববন্ধন বিক্ষোভ ‘তারেক রহমান সুবিধা চান না, আইনী লড়াই করে ফিরবেন’ ৪৩ তম বিসিএস নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি বিএনপির লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা শুরু ২১ অক্টোবর ‘বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙবো’ সিলেটে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন আম্বরখানায় সিসিকের উচ্ছেদ অভিযান থাইল্যান্ড যেতে পারেন নি শমসের মবিন ধলাই সেতুর নীচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি সিটি করপোরেশন জানেই না টিলা আছে কতটি সিলেটে সাবেক আইজিপি সুনামগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা লন্ডনে মারা গেছেন মাওলানা আব্দুল জব্বার সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন সুবিদবাজারে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বাসা দখল করতে হামলার অভিযোগ সিলেটে ব্যবসায়ীর ৭ লাখ টাকা ছিনতাই দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের খন্দকার মুক্তাদিরের শুভেচ্ছা জেলা প্রশাসকের সাথে সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সাংবাদিক বাবর অসুস্থ, অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, দোয়া কামনা সিলেটে সাংবাদিক ইমরানের উপর মামলা সিলেটে ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট স্কুলে স্বাস্থ্য মেলা দক্ষিন সুরমায় ২৮ নং ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বার্মিংহামে বিখ্যাত শেফ টমি মিয়াস ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড সম্পন্ন সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজায় পাশে থাকবে কদমতলী স্বর্ণশিখা সমাজকল্যাণ সমিতি এনটিভি ইউরোপ’র সিলেট প্রতিনিধির দায়িত্ব পেলেন আফজালুর রহমান চৌধুরী দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক রুমন গুরুতর আহত : বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নিন্দা সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
কানাইঘাটে সুরমা নদীর ভাঙনে আতঙ্ক

কানাইঘাটে সুরমা নদীর ভাঙনে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সুরমা নদীর ভাঙন পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বর্তমানে শুকনো মৌসুম হলেও প্রতিনিয়ত নদীর ভাঙনে এলাকার মানুষ দিশেহারা। বিশেষ করে ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের গাছবাড়িবাজার, দলইমাটি, পাত্রমাটি, চইলতাবাড়ি, দর্জিমাটিসহ অন্তত ৮টি স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও এলাকাগুলোতে নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। নদীর পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলো রাত কাটাচ্ছে চরম আতঙ্কে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, এ পর্যন্ত ভাঙনে এলাকার একটি মাদ্রাসা পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। ঝিঙ্গাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় ভাঙনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 

দলইমাটির বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতি বছরই সুরমার ভাঙনে আমরা জমি ও বসতভিটা হারাই। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয় না। এবার তো পুরো গ্রাম নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে।

 

আরেক গ্রামবাসী আমেনা বেগম বলেন, মাদ্রাসাটা হারানোর পর মনে হচ্ছে এবার আমাদের বাড়ি-ঘরও নদীতে চলে যাবে। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। ভয়ে আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না।

 

এদিকে নদীভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা দ্রুত নদীর পাড়ে ব্লক ফেলে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানান। ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বসতবাড়ি রক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

 

ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর বলেন, নদীর ভাঙন ঠেকানোর জন্য আমরা সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। আমাদের ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। ৮টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

 

সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, সুরমা-কুশিয়ারা সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙনপ্রবণ এলাকায় এক কিলোমিটার অংশে প্রতিরক্ষামূলক কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন।

 

নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, আমরা জানি এলাকাবাসী দুর্ভোগে রয়েছেন। কিন্তু প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও কাজ শুরু করতে কিছু সময় লাগবে। আশা করি এই কাজ বাস্তবায়িত হলে ভাঙনের তীব্রতা কমবে।

 

এদিকে স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোও নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করে, নদীর পাড়ে ব্লক ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেবে।

 

কানাইঘাটের বাসিন্দারা সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ আশা করছেন। তাদের মতে, শুধু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করলেই হবে না; প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

 

কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সুরমা নদীর ভাঙন এখন এলাকাবাসীর জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বসতবাড়ি, ফসলি জমি, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করবে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টাই পারে এই ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 shobshomoy.com
Design BY Web Nest BD
shobshomoy.com